ইতিহাস ঐতিহ্যে জামদানি

ঘরেতে এল না সে তো, মনে তার নিত্য আসা-যাওয়া--
পরনে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আবহমান কাল ধরে বাংলার নারীদের প্রথম পছন্দের পোশাক শাড়ি। নারী মানেই শাড়ি। বাঙালি নারী কল্পনা করলেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে শাড়ি পরিহিতা ললনার চিত্র। শাড়ির ধরনে, বর্ণে আছে রকমফের। আপনার পছন্দের শাড়ি কী? কেমন ধরনের শাড়িই বা ভালোবাসেন পরতে? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে আসে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই জামদানি।

নামকরণ
জামদানির নামকরণ বিষয়ে সঠিক কিছু জানা নেই। তোফায়েল আহমদ (১৯৬৪)-এর মতে ফারসি শব্দ জামা মানে কাপড়, দানা অর্থ বুটি; অর্থাৎ জামদানি অর্থ বুটিদার কাপড়। সম্ভবত মুসলমানরাই জামদানির প্রচলন করেন এবং দীর্ঘদিন তাদের হাতেই এ শিল্প একচেটিয়াভাবে সীমাবদ্ধ থাকে। ফারসি থেকেই জামদানি নামের উৎপত্তি বলে অনুমান করা হয়।

ইতিহাস
বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থ, লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী, শ্লোক, বিবরণ থেকে মনে হয় যে, খ্রিস্টপূর্ব প্রথম দশক থেকে বাংলায় সূক্ষ্ম মিহিবস্ত্র সমাদৃত হয়ে আসছিল। বাংলার কার্পাস বা কাঁপাশ বস্ত্রের বিকাশ ঘটেছে অনেক বিবর্তনের মাধ্যমে। দুকূল নামের বস্ত্রের ক্রমবিবর্তনই মসলিন। জামদানি নকশার প্রচলন ও মসলিনের বিকাশ পাশাপাশি শুরু হয়েছিল মনে হয়। নবম শতাব্দীতে আরব ভূগোলবিদ সোলায়মানের স্রিল সিলাত-উত-তওয়ারিখে উল্লেখিত রুমি নামক রাজ্যে সূক্ষ্ম ও মিহি সুতিবস্ত্রের বিবরণ পাওয়া যায়। রুমি রাজ্যকে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন মনে করা হয়। চতুর্দশ শতাব্দীতে ইবনে বতুতা সোনারগাঁয়ের সুতিবস্ত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মূলত জামদানি শিল্পকর্ম পরিপূর্ণতা লাভ করে মুগল আমলে। ঢাকা জেলার প্রত্যেক গ্রামেই কমবেশি তাঁতের কাজ হতো।
বৈচিত্র্যে অনন্য ঢাকাই জামদানি শাড়ি । ছবি- বিবিসি
বিবর্তন ও ধরন
জামদানি কাপড়ের রঙিন নকশা প্রথম তৈরি করেন ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ (১৮৭১-১৯১৫)! উনিশ শতকের শেষ দশকে কিংবা বিশ শতকের শুরুর দিকে নবাব সলিমুল্লাহ এর পৃষ্ঠপোষকতায় রঙিন জামদানি তৈরি হওয়া শুরু হয় এবং ক্রমশ তা জনপ্রিয় হতেও শুরু করে। আর জীবন সায়াহ্নে এসে নবাব স্বয়ং নকশাকার হয়ে যাওয়ার তথ্যটি আমাদের কাছে চিত্তাকর্ষকই বটে! বর্তমান কালে বাংলাদেশে জামদানির যে রঙিন নকশা দেখা যায়, বিশেষত জামদানি শাড়িতে- সেটা কিন্তু জামদানির আদি বা মূল নকশা নয়। যেহেতু গবেষকগণ মনে করেন যে জামদানি হচ্ছে মসলিনের ‘অপভ্রংশ’ রূপ, আর মসলিন ছিলো টানা-পোড়েনে সাদা সুতার খেলা, তাই জামদানির নকশার ইতিহাস সাদার উপরে সাদার কারুকাজ হয়ে থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।
জামদানিকে নয়নাভিরাম করার জন্যে এতে রঙিন নকশার প্রচলন হয় এবং এটি খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। অন্তত লেখক হাকিম হাবিবুর রহমান (১৮৮১-১৯৪৭) সেই কথাই বলছেন। তার ভাষ্যমতে, ‘‘আমাদের বাল্যকাল পর্যন্ত জামদানির উত্তম ধরনসমূহের মধ্যে ‘আশরাফি বুটি’, ‘মাছিবুটি’, ‘জালিদার এবং লহরিয়া’ নামের সাদা রঙের জামদানি তৈরি হতো এবং এটিই হচ্ছে প্রাচীন ধারা।”
অবশ্য হাবিবুর রহমান এও বলেছেন যে শাড়ির পাইরে কালো ও লাল বুটির প্রচলন তাঁর বাল্যকালেই শুরু হয়। এই পরিবর্তনের সাথে যুক্ত ছিলেন ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ। হাকিম সাহেব জানাচ্ছেন, “… সর্বপ্রথম তিনি বিভিন্ন ধরনের রঙের জমিনের উপর ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের বুটি ও ফুল নিজস্ব ডিজাইন এবং নকশা সহযোগে তৈরি করান এবং সর্বপ্রথম তিনিই রঙিন জামদানরি ব্যবহার শুরু করেন। ফুলের মধ্যে বড় বড় উদ্ভাবন হতে থাকে এবং জীবনের শেষের দিকে দৈনন্দিন সময়ের এক বড় অংশ তাঁর এ ধরনের নকশা তৈরিতেই কেটে যেত।’’ ১৯৪৫ সালে বলেছেন, “আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে পর্যন্ত জামদানি শুধুমাত্র সাদাই তৈরি হতো, অবশ্য শাড়ির হাসিয়ায় লাল কালো (সুতার) কাজ সূক্ষ্ম থেকে সুক্ষ্মতর হতো এবং জমিন সাদা থাকতো এবং এটাই ছিল আসল রীতি। আমার বাল্যকালে… ঐসময় পর্যন্ত শুধুমাত্র সাদা জমিনের জামদানি তৈরি হতো।” জামদানির নকশার বিবর্তনের একই রকম তথ্য দিয়েছেন Gorge Watt এবং Percy Brown.

সুতার ধরন
জামদানি শাড়ি সর্বমোট চার ধরনের হয়।
১. ফুল সিল্ক
২. হাফ সিল্ক
৩. ফুল কটন
৪. নাইলন
* ফুল সিল্ক জামদানি শাড়ির তানার সুতা আর বাইনের সুতা এবং শাড়ির উপরের নকশা সবই রেশমের। চায়না আর জাপান থেকে রেশম আমদানি করা হয়।
* হাফ সিল্ক শাড়ির তানার সুতা রেশমের। বাইনের সুতা আর নকশা হয় কটনের।
* ফুল কটন শাড়িতে তানার সুতা, বাইনের সুতা, নকশা সবই কটনের। এই সুতি সুতাটা তৈরি হয় কার্পাস তুলা থেকে। কার্পাস তুলা আমাদের দেশেই চাষ হয়।
* নাইলনের জামদানিতে নাইলন তানার সাথে বাইন আর নকশা নাইলন বা কটন দুটাই হতে পারে। নাইলন আর রেশমে খুব বেশি তফাৎ হয় না। খুব পাকা জামদানি ব্যাবসায়ী না হলে ধরা সম্ভব না কোনটা রেশমের জামদানি আর কোনটা নাইলনের জামদানি। নাইলনকে রেশম জামদানি বলে খুব সহজেই ক্রেতাদের ঠকানো সম্ভব।
সব ধরনের শাড়ির ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে শাড়ির নকশাতে আর শাড়ির পাড়ে জরি ব্যবহার করা হয়। এই জরি ঢাকার মিরপুরে তৈরি হয়।
সাধারণত তিন রঙের জরি জামদানিতে ব্যবহৃত হয়।
১. গোল্ডেন
২. সিলভার
৩. কপার

নকশার বৈচিত্র্য
জামদানি বয়নকারী নিজের মন থেকে সরাসরি কাপড়ে নকশা প্রয়োগ করে থাকেন। অনেকে মনে করেন প্রতিটি জামদানির নকশায় রয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, জীবন ও বৃক্ষলতা। জামদানির নকশার প্যাটার্নের উপর বা নকশার ধরনের উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু শ্রেণীবিন্যাস করা আছে। যেমন-
তেরছা/তেসরী: যে জামদানির নকশায় তির্যক রেখায় সাজানো থাকে তাকে তেরছা নকশার জামদানি বলে। বিভিন্ন ধরনের তেসরী নকশার নাম হলো সাবুদানা, ডালিম, পুঁই লতা, আটু ভাঙ্গা।
বুটিদার: সাধারণত ছোট ছোট ফুলের নকশা দেখা যায়, যখন পুরো জমিন জুড়ে ফুল বা ফুলের ছড়ার নকশা করা হয় তখন তাকে বুটিদার জামদানি বলে। বুটা নিদিষ্ট দূরত্বে পরস্পর থেকে বিচ্ছেন্নভাবে অবস্থান করে। প্রচলিত বুটাগুলোর নাম হলো আশরাফী ফুল, গাঁদা ফুল, সুরমাদানি, জুঁইফুল, পাতা বাহার ইত্যাদি।
ঝালর: যখন ফুলের নকশা জালের মত পুরো জমিনে বিস্তৃত থাকে তখন তাকে ঝালর জামদানি বলে। ঝালর বুটিগুলো পরস্পর সংযুক্ত। বেলপাতা, নিমপাতা, শংখ আংটি ইত্যাদি ঝালরের নকশায় থাকে।
পান্না হাজার: পান্না হাজার হচ্ছে যখন নকশার ফুলগুলো জোড়া দেয়া থাকে অলংকারের মণির মত।
ফুলওয়ার: যখন পুরো জমিনে টানা ফুলের নকশা করা থাকে তখন তাকে ফুলওয়ার বলে।
অনেক সময় নিয়ে একেকটি শাড়ি তৈরি করেন জামদানির তাঁতিরা । ছবি- দেশজ বিপণী
তোরাদার: তোরাদার জামদানি হচ্ছে বড় আকারের বাস্তবানুগ ফুলের নকশার জামদানি। অন্যান্য নকশা তোলা বস্ত্রে নকশার যেমন নাম ব্যবহার হয় জামদানিতেও সেই সকল নাম প্রচিলিত আছে। জামদানি শাড়ির দামও বাইন আর নকশার উপরে নির্ভর করে। জামদানি শাড়ির নকশার এবং পাড়ের আবার আলাদা আলাদা নাম হয়। নামের ব্যাপারটা খুবই চমকপ্রদ। কিছু নকশা আর পাড়ের নাম পড়লেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। জনপ্রিয় নকশাগুলোর মধ্যে কয়েকটা নাম:
কলার ফানা, আদার ফানা, করলা জাল, আংটি জাল বা হানসা, কলমি লতা, শাপলা ফুল, জুই ফুল বুটি, দুবলা জাল, শামুক তেছড়ি, ময়ূরপঙ্খী, কচুপাতা তেছড়া, সন্দেশ ফুল, তারা ফুল, গোলাপ ফুল, বেলী ফুল, ঝুমকা ফুল, চালতা ফুল, মুরালি লতা, পুই লতা, প্রজাপতি বুটি।
জামদানি শাড়ির জনপ্রিয় কিছু পাড়ের নাম:
বাদুরপাখি পাড়, বেলপাতা পাড়, মিহি পাড়, গিলা পাড়, কাউয়ার ঠ্যাং পাড়, ইঞ্চি পাড়, শালগম পাড়, পাড়, কলকা পাড়, কাচি পাড় জামদানি। জামদানি শাড়ির নামকরণ করা হয় পাড়ের নামে। যেমন: কলকাপাড় শাড়ি, মালঞ্চপাড় শাড়ি , ঝুপ্পা পাড় ইত্যাদি। একটি জামদানি শাড়ি দৃষ্টিনন্দন করার জন্য পাড়ের নকশা প্রধান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

বুনন পদ্ধতি
সাধারণত সুতা কাটার উপর নির্ভর করত জামদানি মসলিনের সুক্ষ্মতা। সুতা কাটার উপযুক্ত সময় ভোরভেলা। কেননা তখন বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। সুতা কাটার জন্য তাঁতীদের প্রয়োজন হয় টাকু, বাঁশের ঝুড়ি, শঙ্খ ও পাথরের বাটি। মাড় হিসেবে সাধারণত খই, ভাত বা বার্লি ব্যবহার করা হতো। জামদানি তৈরির আগে তাঁতীরা সুতায় মাড় ও রং করে নেন। রং হিসেবে বনজ ফলফুল - লতা - পাতার রং ব্যবহার করা হতো পূর্বে, বর্তমানে কৃত্রিম রং ও ব্যবহার করা হয়। প্রতি তাঁতে দুজন তাঁতি পাশাপাশি বসে কাজ করেন। দুটি সুচাকৃতি বাঁশের কাঠিতে নকশার সুতা জড়ানো থাকে। প্রয়োজনীয় স্থানে সুঁচ দুটি দিয়ে পরিমিত টানায় সুতার মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে রঙিন সুতা চালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পাশের সুতার মাকু একজন তাঁতি পাশ থেকে অন্য তাঁতির কাছে দিলে তা সেদিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। এভাবে তাঁতি রেখে জামদানি নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। জমিনের সুতার তুলনায় নকশার সুতা মোটা হওয়ায় নকশাসমূহ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। জামদানি তৈরির প্রথম দিকে ধূসর জমিনে জাম নকশা করা হতো। পরবর্তীকালে ধূসর রং ছাড়াও অন্য রঙের জমিনে নকশা তোলা হতো। ভালো জামদানির জন্য ২০০ থেকে ২৫০ কাউন্টের সুতা ব্যবহার হতো। অবশ্য আজকাল তাঁতীরা বাজার থেকে নির্ধারিত কাউন্টের সুতা কিনে জামদানি তৈরি করেন। ষাটের দশকে জমিনে লাল সুতার নকশা করা জামদানি অত্যন্ত সমাদৃত হয়। ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া এন্ড আলবার্ট মিউজিয়ামে সাদা জমিনে সাদা সুতার কাজের সুন্দর জামদানি রক্ষিত আছে।

জামদানি কারুপল্লী ও জামদানি শিল্পনগরী
জামদানি পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা সময়ে তৈরির করা হলেও বংশানুক্রমিক শৈল্পিক মনোবৃত্তিসম্পন্ন কারিগর, স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত কাঁচামাল, শীতলক্ষ্যার পানি থেকে উত্থিত বাষ্প সুতা প্রস্ত্ততি ও কাপড় বুনার জন্য সহায়ক বিধায় ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের ১টি গ্রাম মোট ১৫টি গ্রামে মূলত জামদানি শিল্প কেন্দ্রীভূত। গ্রামগুলি হলো: নোয়াপাড়া, দক্ষিণ রূপসী, রূপসী কাজীপাড়া, গন্দবপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মুগুরাকুল, খিদিরপুর, ইমকলী, তারাবো, খালপাড়া, দিঘবরার, খাদুন, পবনকুল ও সুলতানবাগ। তাছাড়া গঙ্গানগর, কাহিনা, মীরগদাই, মাহিমপুর, হরিণা নদীর পাড়, মীরকুটিরছেও ও সোনারগাঁওয়ের কিছু কিছু এলাকায় জামদানি তৈরি হয়। বর্তমানে বোয়ালমারী উপজেলায় উন্নতমানের জামদানি পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে।

জামদানি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ হলেও সরকারের এ শিল্পের প্রতি তেমন সুনজর নেই।অনেক তাঁতীর অভিযোগ তারা ব্যাংক থেকে ঋণ পায় না, নেই তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধাও। অথচ আমাদের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা অতি জরুরী। রূপগঞ্জে জামদানি পল্লিতে এখন অল্প সংখ্যক তাঁত আছে। দিনদিন কারিগরদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তারা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। এ শিল্পে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদার উপর ভিত্তি করে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন শুধু শাড়ি নয়, পাঞ্জাবি, ফতুয়াসহ বিভিন্ন পোশাকেও জামদানির নকশা ব্যবহার করা হচ্ছে। রপ্তানি ও বিক্রি বাড়াতে জামদানি শাড়ির দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখা এবং ঐতিহ্যবাহী এ শাড়ির রঙ ও নকশার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে গবেষণা করা উচিত। সেইসঙ্গে জামদানির নামে নকল জামদানি বিক্রিও বন্ধ করতে হবে।

লেখক
আরিফা জাহান শান্তা
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

তথ্যসূত্র
১. হাকিম হাবিবুর রহমান, ‘ঢাকা: পঞ্চাশ বছর আগে’, অনু. ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, প্যাপিরাস, ঢাকা, ২০০৫
২. বাংলাপিডিয়া
৩. মোহাম্মদ সাইদুর, ‘জামদানি’, বাংলা একাডেমি, ঢাকা, ১৯৯৩
8. তােফায়েল আহমদ, ‘আমাদের প্রাচীন শিল্প’, বাংলা একাডেমি, ঢাকা, ১৯৯২
পূর্ববর্তী পরবর্তী